আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় ভাই হয়ত আপনি বেকারত্বের বোঝা নিয়ে খুবই চিন্তায় আছেন। এজন্যই মনে হয় আপনি আমাদের এই আর্টিকেল পড়তেছেন। আমি আশা করব, আপনি মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেল পড়লে মাত্র ৫০০ টাকায় দৈনিক ১৫০০ টাকায় আয় করতে পারবেন। সম্পূর্ণ পোস্ট না পড়ে কোন কমেন্ট করবেন না।

মাত্র ৫০০ পুঁজিতে দৈনিক ১৫০০ টাকা ইনকামের উপায় | Invest 500 taka earn 1500 per day

মাত্র ৫০০ পুঁজিতে দৈনিক ১৫০০ টাকা ইনকামের উপায়

টাকায় আয় করতে হলে যে বিষয় গুলো মনে রাখবেনঃ

প্রিয় ভাই/বোন, সবসময় মনে রাখবেন, সৎ ভাবে টাকায় আয় করতে হলে অনেক বিষয় মাথা রাখবেন। মনে রাখবেন, টাকার দিকে তাকালে লজ্জার দিকে তাকাবেন না, আর লজ্জার দিকে তাকালে টাকার দিকে তাকাবেন না। আর সমাজের কথাতো বলায় যাবে না। বসে থাকলে সমাজ বলবে, বসে বসে বাপের ঘাড়ে খাইতেছে। আর টাকা কামাইলে বলবে, দেখ দুনিয়ায় আর কাজ পেলো না, এই কাজ করতে সম্মানবোধ নাই।

মাত্র ৫০০ টাকায় দৈনিক ১৫০০ টাকা আয় করার উপায়ঃ

প্রিয় পাঠক, আজকে এই পোস্টে ৫০০ টাকায় নতুন একটি ব্যবসার আইডিয়া দিব। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়লে আপনি বুঝবেন, আসলেই এই আইডিয়া একদম ইউনিক। হ্যাঁ পাঠক ভাই, আপনি মাত্র ৫০০ টাকায় তেজপাতার ব্যবসা করতে পারেন। চলুন, তেজপাতার ব্যবসা নিয়ে কিছু আইডিয়া আলোচনা করি।

১। তেজপাতার দামঃ বর্তমান বাজার অনুযায়ী পাইকারি ১কেজি তেজপাতার দাম ১০০ টাকা। প্রতিটি পরিবারে বা হোটেল, রেস্তোরাঁয় তেজপাতা লাগেই। তারা কখনোই কিন্তু একসাথে এত তেজপাতা কেনে না। ১০ টাকা বা ৫০ টাকার তেজপাতা কিনে থাকবে।

আইডিয়াঃ আপনি যদি ১কেজি তেজপাতা পাইকারিভাবে কিনে বাড়িতে আনবেন। ১কেজি মানে ১০০০ গ্রাম তেজপাতা, আপনি ২০ গ্রাম করে প্রতি ১কেজিতে ৫০টি প্যাকেট বানাতে পারবেন। এখন প্রতি প্যাকেট মাত্র ১০ টাকায় সেল করলে ৫০০ টাকা বিক্রি করা যাবে। তারমানে আপনি মাত্র ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে ৪০০ টাকা আয় করলেন।

২। জায়গা নির্বাচনঃ নির্জন জায়গায় কখনো ব্যবসা হয় না। সবচেয়ে ভাল আইডিয়া হলো শহরের বিভিন্ন স্থানেই দেখবেন ছোট ছোট অনেক বাজার লাগে। বাজার ছোট হলেও সেখানে লোক সমাগম বেশি হয় এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হয়। একটি বাজার নির্বাচন করার আগে সেখানে বেশ কয়েকদিন যাবেন এবং সময় দিবেন। লক্ষ রাখবেন কোন জায়গা আপনি বসলে আপনার তেজপাতা সেল হবে বেশি। সেই স্থান নির্বাচন করবেন।

৩। কাস্টমারের দৃষ্টি আর্কষণঃ আমি শুধু ১কেজি দিয়ে উদাহরণ দিয়েছি। এটা করলে কিন্তু কাস্টমার দৃষ্টি আর্কষণ হবে না। তাই আপনাকে মোটামুটি ৫ কেজি তেজপাতা দিয়ে ২৫০টি প্যাকেট বানাতে হবে। এই ২৫০টি প্যাকেট কোন জায়গায় ঢাললে অনেক উঁচু দেখা যাবে। তখন এগুলো কাস্টমারের দৃষ্টি আর্কষণ হবে। তারপর থেকে দেখবেন বিক্রি শুরু হয়ে যাবে।

প্রথম দিকে হয়ত কম বিক্রি হবে, এতে হতাশ হওয়া যাবেনা। যখন আপনি একটা পরিচিতি পাবেন, তখন দেখতে পারবেন দিনে একশ দুইশো প্যাকেট অনায়াসে সেল হবে।

আরো পড়ুনঃ বাসাবাড়ির অভ্যন্তরে বেগুন চাষে প্রচুর ফলন পাওয়ার উপায়

৪। গাড়ি দিয়ে প্রোডাক্ট সেলঃ ভাল জায়গা না পেলে একটা ভ্যান গাড়ি করে এই তেজপাতা বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া আরেকটা সুবিধা হলো, একেকটা বাজার একেক সময়ে শুরু হয়। কোন বাজার সকালে আবার কোন বাজার শুরু হয় বিকাল বেলায়। এভাবে আপনি কয়েক জায়গায় মাল বেচতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বাসা বাড়িতে গাড়ি নিয়ে ঘুরে ঘুরে বেচতে পারবেন।

৫। তেজপাতা নির্বাচনঃ একজন ভাল বিক্রেতা হলেই চলবেনা, পাশাপাশি একজন ভাল ক্রেতা আপনাকে হতে হবে। পাইকারি বাজার হতে যখন তেজপাতা ক্রয় করবেন, কখনোই হাইব্রিড তেজপাতা কেনা যাবেনা। কারণ হাইব্রিড তেজপাতার ভাল সেন্ড হয়না, এজন্য ক্রেতার বেশি চাহিদা নেই। বাজার থেকে অবশ্যই দেশি তেজপাতা কিনবেন, এই পাতা সেন্ড অনেক ও ক্রেতার চাহিদা আছে।

৬। তেজপাতা পাইকারি কোথায় পাবেনঃ সাধারণত সবচেয়ে কমরেটে ঢাকা কাওরান বাজার ও চক বাজারে পাবেন। এছাড়াও আপনার শহরের বড় বাজার যেগুলোতে আছে সেখানে একটু খোজ খবর নিবেন।

৭। পাইকারি বিক্রিঃ মনে করুন, আপনার অনেক শরম আছে, এজন্য বাজারে এভাবে তেজপাতা বিক্রি করতে পারবেন না। তাহলে একটা কাজ করতে পারবেন, সেটা হলো আপনার এলাকায় মনোহারী দোকান আছে। তাদের কাছে পাইকারি সেল করতে পারবেন।

অনেক বড় বড় দোকান আছে যারা প্যাকেট করার বড় ঝামেলায় যেতে চায় না। তাদের এরকম রেডিমেট প্যাকেট পাইকারি দিতে পারবেন। এরকম আপনার আশেপাশে ৫-৭ কিলোমিটারের এর ভিতর ৩০০ দোকান কন্টাক্ট করতে পারেন, তাহলে প্রতিমাসে অনেক বড় সেল পাবেন।

Readmore: Top 10 Businesses to Start With No Money in 2023

FAQ:

১। এই ব্যবসা করলে মানুষ কি বলবে?
উত্তরঃ আসলে আমাদের লক্ষ্য টাকা আয় করা। তাই টাকার দিকে তাকালে লজ্জার দিকে তাকাবেন না। লজ্জার দিকে তাকালে টাকার দিকে তাকাবেন না।

২। দেশি তেজপাতা কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ আপনার জেলা শহরের পাইকারি বড় বাজারে বা বড় হাট বাজারে পাবেন।

৩। হাইব্রিড তেজপাতা ও দেশি তেজপাতার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ দেশি তেজপাতা ও হাইব্রিড তেজপাতার ভিতর বড় পার্থক্য হলো এটার সুগন্ধি নিয়ে। হাইব্রিড তেজপাতায় অল্প সুগন্ধি থাকে আর দেশি তেজপাতায় সুগন্ধি অনেক ও দীর্ঘস্থায়ী। তাছাড়া এই তেজপাতা দিয়ে খাবার রান্না করলে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন